ডাকসুর নির্বাচনের পর রাজনৈতিক আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে নতুন সংগঠন আমজনতার দল খুলনায় ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। সাংগঠনিক ভীত মজবুত করতে দু’টো কমিটিতেই পরিবর্তন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই অনেকেই দল ত্যাগ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গর্ভে গড়ে ওঠা নতুন দল এনসিপি’তে আশ্রয় নিয়েছে। নতুন নেতৃত্ব আনতে এ মাসেই দলের জেলা ও নগর শাখার নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নয়া এ সংগঠনটি ড. রেজা কিবরিয়ার অনুসারী। কেন্দ্রে সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কর্নেল (অবঃ) মুসা মশিউজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান। দু’বছর পূর্বে তারা গণঅধিকার পরিষদের সাথে ছিলেন। প্রথম দফা ভাঙনে সরে এসে এ নামে দল গঠন করেন। মূল উদ্দেশ্য সার্বভৌমত্ব, স¦নির্ভরতা, সুশাসন ও ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী। ছিটমহল দখল, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ও বঙ্গোপসাগরে মাছ লুটের বিরুদ্ধে এ সংগঠন প্রতিবাদ করছে।
খুলনা নগরীতে পাটকল চালুর দাবিতে এক সময় সোচ্চার ছিল। ছাত্রদের নয়া সংগঠন এনসিপি আত্মপ্রকাশের পর নগর শাখার আহ্বায়ক ইয়াফেজ ইসতেহার দীপসহ দশজন তাদের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে। এরপর দল কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের পর সাংগঠনিক স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন করেছে। জনসমর্থনের লক্ষ্যে পাড়ায় পাড়ায় ছুটতে শুরু করেছে।
নয়া কমিটির জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে সম্ভাব্য প্রার্থী কবি স ম হাফিজুল ইসলাম ও নগর শাখার সভাপতি হিসেবে মোঃ সাইফুল্লাহ বাবু নেতৃত্বে আসছেন।
দলের সূত্র বলছে, জেলার কয়রা, পাইকগাছা, ফুলতলা, বটিয়াঘাটা, রূপসা ও দিঘলিয়া উপজেলা কমিটি বেশ তৎপর। জনমত সংগঠিত করছে। জেলা শাখার আহ্বায়ক মোঃ সাইফুল্লাহ বাবু সংগঠনের বিকাশ প্রসঙ্গে বলেছেন, দলকে ঢেলে সাজাতে এ মাসেই নয়া কমিটি ঢেলে সাজানো হচ্ছে। কয়েকজন তরুণ আগামী সপ্তাহে দলের সাথে সম্পৃক্ত হবেন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের আলোকে খুলনা-২ আসনে জেলা শাখার আহ্বায়ক হিসেবে এবং খুলনা-৩ আসনে তামান্না ফেরদাসী শিখা সম্ভাব্য প্রার্থী। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রাক প্রস্তুতি ও সাংগঠনিক ভীত মজবুত করতে কর্মীরা বেশ তৎপর।
খুলনা গেজেট/এনএম